দেশনেত্র প্রতিবেদক :
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৭৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং বাকি ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিটি দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপি’র প্রাথমিক সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন বান্দরবান জেলা মহিলা দলের শিরীন আক্তার, আলীকদম উপজেলা বিএনপির মো. রিটন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা মহিলা দলের জাহানারা জাহাঙ্গীর ও যুবদলের জাহাদুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা কায়সার আহমেদ, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. কামাল উদ্দীন, মহিলা দলের রেশমাতুল আরস রেখা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম ও বাবর আলী বিশ্বাস, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির আতাউর রহমান খসরু, জেলা মহিলা দলের শামীমা আক্তার (বেদেনা), নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির আফজাল হোসেন ও মহিলা দলের মহুয়া পারভিন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির এবিএম কাজল সরকার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সুমি বেগম, মনোয়ারা বেগম, হালুয়াঘাট উপজেলার অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের জাহাঙ্গীর আলম খান, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির শামসুর রশিদ মজনু, ফুলপুর পৌর বিএনপির ইমরান হাসান পল্লব, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নাজমুল আলম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির নাজমুল আলম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের ফরিদ আল-রাজি, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলা বিএনপির এবিএম সাইফুল মালেক, শ্রীবর্দী পৌর বিএনপির আব্দুর রহিম বাদশা, ছাত্রদলের সাদমান সৌমিক মুন ও জোবায়দুল ইসলাম রাজন, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের মেহেদী হাসান মামুন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সেবুল মিয়া, গৌউছ খান, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বিএনপির ছবি চৌধুরী, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির রাহেলা বেগম হাসনা, দিরাই উপজেলা বিএনপির গোলাপ মিয়া, শাল্লা উপজেলা বিএনপির গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির স্বপ্না শাহীন বেগম, আব্দুল রব সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কাউছার খান, পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা বিএনপির ফায়জুল কবির তালুকদার, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা মহিলা দলের আফরোজা রহমান লিপি, হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের জাহিদুর রহমান তুষার, সিংগাইর উপজেলা বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন তোফাজ, হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির মোশারফ হোসেন মুসা, গাজীপুর জেলা বিএনপির ইজাদুর রহমান মিলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাজ্জাদ মোর্শেদ, উপজেলা বিএনপির ওমরাহ খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয় পরিষদের শামীম ইস্কান্দার, সরাইল উপজেলা যুবদলের হানিফ আহমেদ সবুজ, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির মাজহারুল ইসলাম, মেঘনা উপজেলা মহিলা দলের হালিমা আক্তার শিমু, দিলারা শিরীন, মেঘনা উপজেলা বিএনপির রমিজ উদ্দীন লন্ডনী, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির রোমানা আহমেদ, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ইশরাত জাহান পুনম, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপির মেহেদী হাসান মিন্টু, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সরোয়ার হোসেন, যুবদলের মো. সেলিম, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির পারুল নাহার, বিরামপুর পৌর বিএনপির আব্দুল হাই, উপজেলা মহিলা দলের উম্মে কুলসুম বানু, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা দলের লতিফা আক্তার, হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা দলের মাকতুফা ওয়াসিম বেলী, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা বিএনপির ইমান আলী ও সেকেন্দার আলী চাঙ্গা, মহিলা দলের তাজমিন নাহার (শাপলা), রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপির শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষক দলের জানে আলম, উপজেলা বিএনপির ফারুক মৃধা, ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষক দলের শাহিদ আল-ফারুক, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের একেএম নাজমুল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির রউফ উন-নবী এবং রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের শারমিন আক্তার টুকটুকি।
এবার চার ধাপে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। এরি মধ্যে তিন ধাপে ৪২২টি উপজেলার ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট হবে আট মে। আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে এবং তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে।
দলীয় প্রতীকমুক্ত এবারের উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অনেক নেতারাই ভোটে দাঁড়িয়ে গেছেন।
এর আগে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা ভোটে দাঁড়ানো নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।