মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ প্রতিবন্ধী মেয়ে পপি সরকার (১২) কে হত্যা করে বাবা দিগেন্দ্র সরকার।
শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে এ বিষয়ে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দিগেন্দ্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়া থানার পৃথিমপাশা ইউপির সুলতানপুর গ্রামের কামাল মাস্টারের বাড়ি থেকে পপি সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পপির বাবা নিজে বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, তদন্তের একপর্যায়ে পপির বসতঘরের দক্ষিণ পাশে জানালার সামনে বারান্দায় ঝোলানো ‘মঞ্জিল মায়া সল্ট’ নামক একটি বিস্কুটের প্যাকেট উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। ওই বিস্কুট প্যাকেটের সূত্র ধরে তদন্তকারী দল সরেজমিনে অনুসন্ধানে পাশের একটি মুদি দোকান থেকে হুবহু কয়েকটি বিস্কুটের প্যাকেট উদ্ধার করে।
মুদি দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন নিহত দিগেন্দ্র তার মুদি দোকান থেকে ওই বিস্কুটসহ ১০ টাকার মিনিট কার্ড ও কয়েকটি সিগারেট কিনে নেয়।
পরে মামলার ঘটনায় বাদী জড়িত সন্দেহ হলে দিগেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ওই বিস্কুটের প্যাকেট তার মেয়ের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে জানালার সামনে বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে মেয়েকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখানোর নাটক সাজায় দিগেন্দ্র।
কুলাউড়া থানার ওসি আবদুস ছালেক জানান, মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার দায়ে দিগেন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দিগেন্দ্র সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।