আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা জুড়ে মাকড়সার জালের মত বিস্তৃত হামাস এর সুরঙ্গগুলো। এই সুরঙ্গ গুলোর কারণে ইজরাইলি বাহিনীকে প্রতিনিয়ত বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এসব সুরঙ্গ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছে ইজরাইলি বাহিনী।
গাজায় সুড়ঙ্গগুলিতে পানি ঢুকিয়ে এ বার হামাসবাহিনীকে নিধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই সেখানে বড় বড় পাম্প নিয়ে এসেছে ইজরায়েল বাহিনী। আমেরিকার এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ইজরায়েল প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, গাজার নীচে সুড়ঙ্গগুলি থেকেই লড়াই চালাচ্ছে হামাস। স্থলপথে গাজ়ায় ঢোকার পর ইজরায়েল বাহিনীর প্রথম লক্ষ্য ছিল সুড়ঙ্গগুলিকে ধ্বংস করা। গোটা গাজ়ায় যে ভাবে হামাসের সুড়ঙ্গের জাল বিস্তৃত তাতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হচ্ছে ইজরায়েল বাহিনীকে। হাসপাতাল, স্কুল, বড় বড় আবাসনের নীচে সুড়ঙ্গ বানিয়ে সেগুলি আত্মগোপন, কমান্ড সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করছে বলে দাবি ইজরায়েলের। আকাশপথ, স্থলপথে হামলা চালিয়েও যখন সুড়ঙ্গের এই জাল ছেঁড়া বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এ বার তাই অন্য পন্থা অবলম্বন করছে নেতানিয়াহুর দেশ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে সুড়ঙ্গগুলি চিহ্নিত করা হবে। তার পর সেগুলির ভিতরে পাম্প দিয়ে পানি ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। প্লাবিত করা হবে ওই সুড়ঙ্গগুলিকে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বড় বড় পাঁচটি পাম্প বসিয়েছে ইজ়রায়েল বাহিনী। যে পাম্পগুলির মাধ্যমে ঘণ্টায় কয়েক হাজার কিউবিক মিটার পানি বের হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হামাসের সুড়ঙ্গগুলিতে পানি ঢোকানো হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
তবে পাশাপাশি আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে, সেটি হল যুদ্ধ বন্দিরা সব মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কি এই কৌশল নেবে ইজরায়েল? যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও উল্লেখ নেই ওই প্রতিবেদনে। ইজরায়েলও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।