সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিচার শুরু
সংগৃহীত ছবি

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিচার শুরু

মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৮ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

তবে এ মামলায় অপর আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

এদিন আসামি লাবুর পক্ষে তার আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি লাবুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন ও ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ২৫ জুলাই এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন আদালত। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার গত ৯ এপ্রিল ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এছাড়াও

রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

দেশনেত্র ডেস্ক : রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *