জাতিসংঘ ঘোষিত মাদকবিরোধী দিবসে পল্লবী যুবদলের বিশাল মানববন্ধন—মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের এলাকা ছাড়ার আল্টিমেটাম, প্রশাসনের প্রতি কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি।
“আজ থেকেই ভালো হয়ে যান, নয়তো এলাকা ছাড়ুন—না হলে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুর ১১ মেট্রোরেল স্টেশনের মূল সড়ক জুড়ে এক বিশাল মানববন্ধনে এই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
“মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেতনতা ও কঠোর আইনি প্রয়োগের আহ্বান” শীর্ষক র্যালি ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন—
“মাদকের ছোবলে পরিবার ধ্বংস, যুবসমাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ১৬ আসনে যারা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত, তারা এখনই ভালো হয়ে যান। দেশ রক্ষা করতে হলে আপনাকে পরিবর্তন হতেই হবে। নয়তো এলাকা ছাড়ুন, যুবদল আর সহ্য করবে না।”
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
বক্তারা মাদক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন,
“দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আছে, কিন্তু নেই কোনো মাদকমুক্ত অধিদপ্তর। প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দৈনিক-মাসিক ‘হপ্তা’ খেয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের রক্ষা করছেন। এখন সময় এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনার।”
হাজ্বী নুর সালাম বক্তব্য;
পল্লবী থানা যুবদলের এই ঘোষণা কোনো ‘কথার বাণী’ নয়, এটি যুদ্ধের ডাক। মাদকবিরোধী লড়াইয়ের ময়দানে এবার যারা নীরব থাকবেন, তারা পরোক্ষভাবে অপরাধীদের পক্ষে।
সমাজ বাঁচাতে হলে, প্রজন্ম রক্ষায় এখনই দাঁড়াতে হবে—একসাথে, এক কণ্ঠে।
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান
বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশ নবিশ (বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ) বলেন,
“পিতামাতারা তাদের সন্তানের গতিবিধির উপর নজর রাখুন। তারা কার সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, বিদ্যালয়ে ঠিকমতো যাচ্ছে কি না—এসব খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবার সচেতন হলে মাদক ঠেকানো সম্ভব।”
অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন—
শিক্ষা ও রাজনৈতিক অঙ্গনের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা, এবং স্থানীয় জনতা—সবাই এক কণ্ঠে বললেন:
“জীবনকে ভালোবাসুন, মাদককে না বলুন”,
“বাঁচাই প্রজন্ম, রুখি মাদক”।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ (বর্ণানুক্রমে):
রাজনৈতিক ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ:
হাজী নূর সালাম, আহ্বায়ক, পল্লবী থানা যুবদল (সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক)
কামাল হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, পল্লবী থানা বিএনপি
আশরাফ আলী গাজী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, পল্লবী থানা বিএনপি
আনোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি, সেচ্ছাসেবক দল, ঢাকা মহানগর উত্তর
হাজী তৈয়ব, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, পল্লবী থানা বিএনপি
আনিসুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক, পল্লবী থানা বিএনপি
মোখলেছুর রহমান আবির, যুগ্ন আহ্বায়ক, পল্লবী থানা বিএনপি
ফজলুল হক লাবলু, যুগ্ন আহ্বায়ক, পল্লবী থানা বিএনপি
হাজ্বী বাদশা মিয়া, সভাপতি, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি
মাহাবুব আলম মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি
মোঃ নজরুল মাতবর, সভাপতি, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি
মোঃ খায়ের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি
মোঃ জাহাঙ্গীর লালন, সাংগঠনিক সম্পাদক, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি
যুবদল:
মামুন মোল্লা, সদস্য, আহ্বায়ক কমিটি, ঢাকা মহানগর উত্তর
হুসাইন মুন্না, যুগ্ম আহ্বায়ক, পল্লবী থানা যুবদল
শামীম আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক, পল্লবী থানা যুবদল
দেওয়ান বিপ্লব আমিন রাজীব, আহ্বায়ক, ৩নং ওয়ার্ড যুবদল
মোঃ ফরহাদ হোসেন রাজন, সদস্য সচিব, ৩নং ওয়ার্ড যুবদল
ইব্রাহিম খলিল, আহ্বায়ক, ৫নং ওয়ার্ড যুবদল
মোঃ রিয়াজ, সদস্য সচিব, ৫নং ওয়ার্ড যুবদল
কাউসার আহমেদ মোল্লা, আহ্বায়ক, ৬নং ওয়ার্ড যুবদল
ইশতিয়াক আহমেদ সুজন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ২নং ওয়ার্ড যুবদল
মোঃ বাবু হোসেন, পল্লবী থানা যুবদল
মোঃ সোলায়মান চৌধুরী, পল্লবী থানা যুবদল
মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জিহাদ, পল্লবী থানা যুবদল
আশিকুর রহমান আশিক, ৯১নং ওয়ার্ড যুবদল
পারভেজ আলম ফরিদ, সভাপতি, ৫ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দল
মহিলা দল:
লাইলি বেগম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মহিলা দল, ঢাকা মহানগর উত্তর
দিলারা ইসলাম পলি, সদস্য সচিব, মহিলা দল, পল্লবী থানা
জাহানারা ইসলাম, আহ্বায়ক, ৫নং ওয়ার্ড মহিলা দল
মিসেস লিপি, সদস্য সচিব, ৫নং ওয়ার্ড মহিলা দল
ছাত্রদল:
জুয়েল খন্দকার, সাবেক সভাপতি, পল্লবী থানা ছাত্রদল
মনিরুজ্জামান রনি, সাবেক সভাপতি, রূপনগর থানা
সৈয়দ হাসান সোহেল, আহ্বায়ক, পল্লবী থানা ছাত্রদল
শেহজাদ রাব্বি, যুগ্ম আহ্বায়ক, পল্লবী থানা ছাত্রদল
সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ:
মুফতি আব্দুর রফ ফরিদী
মুফতি আব্দুল বাতেন কাসেমী
আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক, এমডিসি মডেল হাই স্কুল
শহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক, মাজেদুর হাই স্কুল
প্রিন্সিপাল আলমগীর হোসেন, শহিদ জিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ
মোঃ শেখ ফরিদ, প্রধান শিক্ষক, শেখ কামাল উচ্চ বিদ্যালয়
প্রশাসনিক নিরাপত্তা:
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে পল্লবী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করে। অংশগ্রহণকারীদের সুশৃঙ্খল অবস্থান ও স্লোগানে মাদকবিরোধী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পায়।