দেশনেত্র প্রতিবেদক :
ভোট বর্জনে’ রাজধানীর তোপখানা রোডে লিফলেট বিতরণ করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার চলার মধ্যেই ‘একতরফা’ ভোট বন্ধ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
সোমবার সকালে ‘৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে’ রাজধানীর তোপখানা রোডে লিফলেট বিতরণ করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনি ’১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট করলেন, ’১৮ সালে রাতে ভোট করলেন… এখন আবার তামাশার নির্বাচন শুরু করেছেন, ডামি নির্বাচন শুরু করেছে যে নির্বাচন কেউ মানে না, বাংলাদেশের জনগন এই নির্বাচন মানে না।
“আমরা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই নির্বাচনি খেলা বন্ধ করেন, তফসিল-ভোট বন্ধ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসেন… একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন।”
রুহুল আমিন গাজী বলে “আপনি যদি মনে করেন চিরস্থায়ী আরেকটি বাকশাল শাসন কায়েম করবেন, সেটি দুঃস্বপ্ন। সেটি কখনো বাংলাদেশে কায়েম হবে না।”
সাকলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন। এরপর তাদের তোপখানা রোডের পথচারী, বাস-রিকশা চালক ও যাত্রীদের হাতে হাতে লিফলেট বিলি করতে দেখা যায়।
রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
এছাড়া অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী আব্দুল হালিম মিঞা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, সাংবাদিক একেএম মহসিন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, সাঈদ খানসহ পেশাজীবী এই সমাবেশে অংশ নেন।