রাজশাহী প্রতিনিধি :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। পিআর পদ্ধতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি করছে। কিন্তু এটি আমাদের সংবিধানে নেই। কোনো আইনেও নেই।
আমরা শাসনতন্ত্র ও আইনের দ্বারা নির্দেশিত। এর বাইরে যেতে পারি না। যদি এরকম কোনো কিছু হয়, পিআর পদ্ধতিতে যদি আইন হয়, শাসনতন্ত্র যদি পরিবর্তন হয়, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। এটি এখনো রাজনৈতিক আলোচনা ও তর্কবিতর্কের পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। তারা ঘুঘু দেখেছে, ফাঁদ দেখে নাই। এবার ফাঁদ দেখবে তারা, যারা মনে করবে কেন্দ্র দখল করে জিতব, বাক্স দখল করে জিতব। সেই সুযোগ ইনশাল্লাহ তারা পাবে না। এখানে আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এবং আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) সঙ্গে নিয়ে আমরা এই কাজটা সারব ইনশাল্লাহ। ’ ‘আমরা সেভাবেই কাজ করছি। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি। আগে যে ধরনের হুকুম যেত; আমাদের হুকুম যাবে অ্যাজ পার ল, আমাদের হুকুম যাবে অ্যাজ পার রুল।
একদম নিরপেক্ষভাবে যাতে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করে, সেই নির্দেশনা থাকবে। অন্যায় কোনো হুকুম আমাদের তরফ থেকে যাবে না। অন্যায় কোনো আবদার আমরা কারও কাছ থেকে শুনব না। ’ অবৈধ অস্ত্রধারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে সিইসি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। অভিযান এখনো চলছে, ভোটের আগে জোরেশোরে চলবে। যারা অস্ত্রবাজি করার নিয়ত করেছেন, আপনাদের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। অস্ত্র উদ্ধারের একটা অভিযান চলবে। ’ বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত নির্বাচন কর্মকর্তারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ভাই, আমার তো ৫ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা। কোথায় পাঠিয়ে দেব এদেরকে!
তাদের মধ্যে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বউদ্যোগে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত ছিল, তাদেরকে তো অবশ্যই দায়িত্বে রাখব না। ’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যতটুকু চিন্তা করছেন, তার চেয়ে বেশি সজাগ আছি আমরা। আমি বিশ্বাস করি, কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন করে তো, তারা দেখেছে কর্তা কোন দিকে যায়। আমাদের অফিসাররা জানে যে এখনকার নির্বাচন কমিশন কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। তারা আইন অনুযায়ী নিউট্রলি কাজ করতে চায়। আগে করেছে, যেহেতু আগের নির্বাচন কমিশন থেকে অনেকে চেয়েছে, আগে সরকার চেয়েছে। আমাদের তো সেরকম কোনো সমস্যা নেই। ’