জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
বিএনপিসহ যারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন না, তারা যদি নির্বাচনে আসতে চান তাহলে আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ তৈরি করা হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
ইসির এমন বক্তব্যে নতুন তফসিলের বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না কারণ বর্তমান তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০শে নভেম্বর।
বিএনপির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ধরনের সহায়তা চাইলে তাতে ইতিবাচক সাড়া দেবে ইসি। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাব।
এর আগে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের সবরকম প্রস্তুতি সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে ভোটের তারিখ পেছাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে এসে সহায়তা চাইলে অবশ্যই তা করা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের জন্য যত রকম ইতিবাচক চেষ্টা করা সম্ভব, তা করা হবে। যারা নির্বাচনে আসবে না, তাদের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনে জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য জানিয়েছে ১০টি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। আর জোটবদ্ধ নাকি একক নির্বাচন সেই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে আছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন জমার সুবিধার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সাত দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রওশন। এ সময় রাষ্ট্রপতি বিষয়টি দেখবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন।
অন্যদিকে, বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো এখন পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের পথে রয়েছে। একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে তারা।
এখন বিএনপি যদি নির্বাচন সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব এ পৌঁছতে সম্মত হয় এক্ষেত্রে নতুন করে তফসিলের বিষয়টি ভাবতেই পারে নির্বাচন কমিশন, এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন।