নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান পলাতক এই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন।
চার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অপরাধে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারেক রহমান।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারেককে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়ই তার ও জোবায়দার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগে বলা হয়, ঘোষিত আয়ের বাইরেও চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে তারেক ও জোবায়দার। মামলায় আরেক আসামী ছিলেন তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু।
এই তিনজনের বিরুদ্ধেই ২০০৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। উচ্চ আদালতে আবেদন করে মামলা থেকে পার পেয়ে যান ইকবাল মান্দ বানু।
জোবায়দার পক্ষ থেকেও মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকার পর গত বছর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চের আদেশের পর নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়।
এই মামলায় গত ৫ জানুয়ারি তারেক জোবায়দার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে ১৯ জানুয়ারি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।