দেশনেত্র অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের হিন্দু অধ্যুষিত উত্তর প্রদেশের শহর অযোধ্যায় সোমবার উদ্বোধন হচ্ছে প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত রামমন্দির। এ উপলক্ষ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। লতা মঙ্গেশকর চকে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যদের।
অযোধ্যায় ‘মহোৎসব’ ঘিরে আঁকা হয়েছে দেয়াল চিত্র। স্কুল শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। নানান রঙে মিশিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সেজেছে অযোধ্যা।
উদ্বোধনের আগের রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর চিঠির জবাব দিতে গিয়ে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’কে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন , এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।
মোদী রোববার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লেখেন, অযোধ্যা ধামে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আগে সন্তদের উপদেশ মেনে প্রধানমন্ত্রী ১১ দিন ধরে যে ‘ব্রতপালন’ করছেন, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন, ‘আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রতপালন করছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, প্রভু শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তার কাছে আত্মসমর্পণ করাও।’
চিঠিতে মহাত্মা গান্ধীর কথাও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। লিখেছেন, ‘গান্ধীজিও ভগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন।’
রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ১২টার দিকে। তার আগে সাড়ে ১০টায় অযোধ্যায় পৌঁছবেন মোদী। অযোধ্যায় একটি জনসভা করবেন তিনি। সেখান থেকে তার যাওয়ার কথা অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায়।
সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলবে মঙ্গলবার। সোমবার আমন্ত্রিত ছাড়া সাধারণ মানুষ মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না। মঙ্গলবার থেকে সারাদিনে দু’বার রামমন্দিরের দরজা খোলা হবে সাধারণের জন্য।
২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর দেশটির শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গড়া যে বেঞ্চ বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রাম লালাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সেই পাঁচ বিচারপতিকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
৩২ বছর আগে অযোধ্যার এই জায়গাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ। বলা বাহুল্য, রামমন্দিরের উদ্বোধনীতে আমন্ত্রণ পাননি আমির, শাহরুখ এবং সালমান খান।