আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে পচাগলা অসংখ্য মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।লাহোর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরের ওই হাসপাতালের মরদেহ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।কেউ বলছেন,এ সংখ্যা ২০০,কারও কারও দাবি,সংখ্যাটি ৫০০–এর বেশি।
এ ঘটনায় ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।মুলতানের ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহী এ ঘটনার জন্য প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা সচিবের কাছে একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের ছাদে লাশ ফেলা অমানবিক। দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মরিয়ম আশরাফ এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতালে কীভাবে অজ্ঞাত ও বেওয়ারিশ মরদেহগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তা জানান তিনি।
তিনি বলেন, হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত ও বেওয়ারিশ মরদেহ রাখা হয়। সেই মরদেহগুলোতে পচন ধরতে শুরু হলে সেগুলো মর্গের ছাদে বাতাসযুক্ত কক্ষে রাখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, কিছু দাবিহীন মরদেহ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। আর তা নিয়ম ও বিধি মেনেই করা হয়েছিল।তবে পাঁচ শতাধিক মৃতদেহ পাওয়ার খবর অস্বীকার করেন অধ্যাপক মরিয়ম আশরাফ। তিনি বলেন, চিকিত্সা পেশার লোকেরা আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন।
এরই মধ্য মুলতানের ওই সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক জামান গুজ্জর। গত শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় ছাদে তিনি বেশকিছু সংখ্যক লাশ দেখতে পান।এছাড়াও আর একটি বন্ধ ঘরে তিনি ২৫টি পচাগলা লাশ দেখতে পান।
তারিক জামান বলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল মৃতদেহগুলো মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘মৃতদেহগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পরে, জানাজার পর যথাযথভাবে দাফন করা উচিত ছিল। তা না করে সেগুলো ছাদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।