অর্থনীতি ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে গত কিছুদিন ধরেই অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান বাড়ছিল। একপর্যায়ে তা ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। অবশেষে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন মুদ্রার দাম কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, আগামী মে মাস থেকে সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এই প্রত্যাশায় ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। আলোচ্য কার্যদিবসে গ্রিনব্যাক সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন (সোমবার) তা ছিল ১০৪ দশমিক ৬০ পয়েন্ট। গত ১৪ নভেম্বরের যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রতি অসি কারেন্সির মূল্যমান স্থির হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৫০৫ ডলারে। আগের কর্মদিবসে যা বিগত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রতি কিউই কারেন্সির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬০৬৩ ডলারে। ইউরোর উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। ইউরোপিয়ান মুদ্রাটির দর দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ০৭৬১ ডলারে।
স্টার্লিং শক্তিশালী হয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটি বিক্রি হচ্ছে ১ দশমিক ২৫৫৮ ডলারে। আগের কর্মদিবসে যা বিগত ৭ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল। একই দিনে জাপানি মুদ্রাও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতি গ্রিনব্যাকের দাম স্থির হয়েছে ১৪৮ দশমিক ৫৭ ইয়েনে। গত দিন যা ২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল।