দেশনেত্র প্রতিবেদক :
প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ক্ষমতাসীনদের সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে মিরপুর ২ নম্বর স্টেডিয়ামের দিকে চলে যায়।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে সরকারি দলকে হটিয়ে আন্দোলনকারীরা দখল নেয়।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে আওয়ামী লীগের দখলে ছিল গোল চত্বর। বিকাল সাড়ে ৩ টায় প্রায় ৫ ঘন্টা আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মাইক রেখে দৌড়ে পালায়।
এর আগে সকাল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ১০ নম্বর দখল নেয়। আন্দোলনকারীদের ও শিক্ষার্থীদের অলি গলিতে খুঁজে মারধর করে।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বেনারশি পল্লী, আইডিয়াল গার্লস স্কুল সড়ক, বিআরটিএ সড়ক, মিরপুর ৬ নম্বর, আল হেলাল হাসপাতাল সড়ক ছড়িয়ে পর। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে, পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোনকারীদের ১৯ জনকে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
সংঘর্ষের সময় আওয়ামীলীগের কিছু সমর্থকদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, তাদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা গেঙ্জি ও মাথায় হেলমেট পরিহিত ছিল।
বর্তমানে মিরপুর স্টেডিয়ামের ও সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনে সংঘর্ষ চলছে।
এর আগে, শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।