আজ হোলি আর্টিজান হামলার আট বছর
ফাইল ছবি

আজ হোলি আর্টিজান হামলার আট বছর

 

দেশনেত্র প্রতিবেদক :

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হয়।

এরপর জঙ্গি নির্মূলে সর্বোচ্চ কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও দু’বছর আগেও আলাদত থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, শতভাগ না হলেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে জঙ্গিবাদ।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই, গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি দখল করে মুহুর্মুহু গুলি করে জঙ্গিরা। হামলায় নিহত হন ২২ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও দুজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন।

হোলি আর্টিজন হামলার পর কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৬ এর পর দেশে আর কোনো জঙ্গি হামলা হয়নি। পরের আট বছরে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয় কয়েকশ জঙ্গি।

গুলশান হামলার পর জঙ্গি দমন অভিযান গতি পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে অনেক জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষনেতাদের প্রায় সবাই মারা যান।

এরই মধ্যে, ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর দিন দুপুরে আদালত পাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্য স্বীকার করছে, দেশের জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

ওই ঘটনার মাত্র চার মাস আগে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে গঠন করা হয়েছিলো ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যেই সংগঠনটি এই হামলায় অংশগ্রহণ করেছিলো নব্য জেএমবি; বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকরতম জঙ্গি সংগঠন। আমরা জঙ্গি সংগঠনের প্রকৃতি বিশ্লেষশণ করলে দেখবো যে এটাই ছিলো সবচেয়ে হিংস্র।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ এখনও তৈরি হয়নি। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই না বরং সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা না গেলে এর স্থায়ী সমাধান হবে না।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, এখনকার যে বাস্তবতা বিরাজ করছে। আমরা একেবারে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ, উগ্রবাদ মুক্ত বাংলাদেশ বা সমাজ নির্মাণ করতে পেরেছি বা ধারণ করতে পেরেছি এটি বলার কোনো সুযোগ নেই।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায় দেওয়া হয়। হামলায় জড়িত থাকার জন্য আট জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। খালাস পান একজন।

গত বছরের অক্টোবরে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির সাজা পাল্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাই কোর্ট। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।

এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের কপি হাতে পেলে প্রয়োজনে আপিল করবে তারা।

তিনি বলেন, এখনও পুরো রায় আমরা পাইনি। জাজমেন্ট হাতে পেলে তারপর কী করবো সে সিদ্ধান্ত নেবো।

 

এছাড়াও

রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে মারধর ও শ্লীলতাহানী, গ্রেপ্তার তিন

রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে মারধর ও শ্লীলতাহানী, গ্রেপ্তার তিন

দেশনেত্র প্রতিবেদক : রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *