সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় রবিউল ইসলাম নামের এক কিশোরকে মৃত হিসেবে শনাক্ত করে দাফন করেছিল পরিবার। তার মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। অবশেষে ১৫ দিন পর ওই কিশোর পরিবারের কাছে জীবিত ফিরে এসেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় হাজির হয় কিশোর রবিউল। অথচ এর আগে তাকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল স্থানীয়রা।
রবিউল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত। গত ২৬ জুলাই সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
স্থানীয়রা জানান, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল ইসলাম নাঈম। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরে ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি নিখোঁজ রবিউলের বলে শনাক্ত করেন। ওই সময় রবিউলের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছিলেন।
এদিকে, লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর থানায় রবিউলের পরিবার মামলা করতে যায়। মামলার চেষ্টা করা হয় কুলাউড়া থানায়। কিন্তু দুটি থানাই প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করায় ৬ আগস্ট সেই লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা গোয়ালাবাজার এলাকায় সিলেট-মহাসড়ক অবরোধ করেন।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, রবিউল নামে এক ছেলে আত্মগোপনে ছিল। তার পরিবারের সদস্যরা জীবিত পেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছি। আগের লাশ ও দায়ের করা মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।