হ্যাঁ
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য দলটিকে এখন নির্ভর করতে হচ্ছে জোটের শরিকদের উপর। বিশেষ করে তেলেগু দেশাম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেড এর নিতীশ কুমার এর উপর। মনে করা হচ্ছে এই দুই নেতার সমর্থন যেদিকে যাবে তারাই এগিয়ে যাবে সরকার গঠনের পথে।
খবর পাওয়া গেছে এর আগে মঙ্গলবারই (৪ জুন) , চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে কপাল পুড়তে পারে বিজেপির।
কারণ, সেটি হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণ হবে না এনডিএ’র। আর নাইডু-নীতিশের ২৮ আসন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে ইন্ডিয়া জোট।
নীতিশ-নাইডুকে ফেরাতে পারলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের খুব কাছাকাছি পেীছবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। সেক্ষেত্রে তাদেরকে আরও কিছু স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ‘রহস্যজনক গতিবিধি’ দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি সফর করেছেন নীতিশ।

নাইডু-নীতিশকে নিয়ে বিজেপির ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে, ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা নির্বাচন করেন নীতিশ। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন। দুই বছর না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতিশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এ বছর আবার যুক্ত হন। ফলে তাকে নিয়ে শঙ্কা থাকছেই বিজেপির।
এছাড়া চন্দ্রবাবু নাইডুও এ বিষয়ে এখনও তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি।
সবমিলিয়ে, বিজেপির এবং কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ এখন নাইডু-নীতিশের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অনেকে।