দেশনেত্র প্রতিবেদক :
আর্থিকখাতে বাংলাদেশ কাঠামোগত উন্নয়ন করায় সন্তুষ্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। আর এ কারণেই প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার পেতে বাংলাদেশের কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ সফরে আসা ১০ সদস্যের নেতা ক্রিস পাপাজর্জিও।
তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি।
তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে বৈঠক করছে। এদিন অর্থ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সাথে সমাপণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির মিশন প্রধান।
আগের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বৈঠক হয় আইএমএফের প্রতিনিধিদের। এরপর বাংলাদেশ ঋণ পাওয়া নিয়ে আশাবাদী বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ, রাজস্ব আদায়, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষই। ফলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে ছাড় করা হবে এই ঋণ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ছাড় করে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বছরের জুন নাগাদ দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, এটা কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হতে পারে।
ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য গত মার্চ শেষে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার ও জুন শেষে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত ছিলো আইএমএফের।
কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণ না হলেও তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে কোনো সংশয় নেই।